শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। শ্রদ্ধা নিবেদনে সেখানে সকাল থেকে নেমেছে শোকাহত মানুষের ঢল।
সোমবার (১৫ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৬টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন সরকারপ্রধান। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এরপর ফাতেহাপাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার সঙ্গে এসময় ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ শীর্ষ নেতারা।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে থাকেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে।
এর বাইরে সাধারণ জনতারও ভিড় দেখা যায় বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকায়। শিশু তার বাবার সঙ্গে অথবা সহপাঠী বা বন্ধুরা মিলে এসেছেন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ঘাতকদের বুলেটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ হন। ঘাতকরা শুধু জাতির পিতাকেই হত্যা করেনি, তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ১০ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, একমাত্র সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসেরসহ আরও অনেককে হত্যা করে।
ইতিহাসের নৃশংস ও মর্মস্পর্শী এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর ও বিনম্র শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুসহ সেদিনের শহীদদের স্মরণ করছে জাতি।